সংবাদ শিরোনাম:

ফাঁসিতে ঝুলে ১ জনের মুত্যু

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আইনুল নাঈম:

শেরপুরের নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৫ টার দিকে গনপদ্দি ইউনিয়নের পিঁপড়ি কান্দী গ্রামে সাহিদা আক্তার (১৭) ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছেন। মৃত শাহিদা পিঁপড়ি কান্দী গ্রামের আক্তার আলীর(৫০) দ্বিতীয় মেয়ে।
শেরপুরের চক কামারিয়া গ্রামের মোঃ আলাল হোসেন (৫৫) ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (২৮) সাথে নকলা পিঁপড়ি কান্দী গ্রামের আক্তার আলীর( ৫২) এর মেয়ের সাথে সাহিদা আক্তার (১৭) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করেন। গত রমজানে তাদের বিয়ে হয় ,আরিফের পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই তারা শাহিদাদের বাড়িতে থাকতেন। কিছু দিন অতিবাহিত হলে আরিফের বাবা মেনে না নিলেও আরিফের মা মেনে নিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মৃত শাহিদা মায়ের কাছে জানতে চাইলে,তিনি দৈনিক দেশ বার্তাকে বলেন, আরিফ আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করতো আরিফ নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন আমার মেয়ের শরীরের অনেক আছে। আরিফদের বাড়িতে থাকার সময় প্রায় তাদের ঝগড়া হতো এবং আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে বলতো টাকা পয়সা নিয়ে আসতে টাকা না দিলেই নির্যাতনের শিকার হতো আর এই টাকা নিয়ে জোয়া খেলে সব টাকা পয়সা উড়িয়ে দিত।
প্রাই দের মাস তাদের বাড়িতে থাকার পর তারা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আমার মেয়েকে রেখে আরিফ ঢাকা চলে যায়। ঢাকা থেকে তিনদিন হলো আরিফ তাদের বাড়িতে আসে ।২২/০৯/২৪ তারিখ সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে আসে।রাতে আমি রান্নাবান্না করে তাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ আমার আমাদের ঘরে শুয়ে পরি আমার মেয়ে ও জামাই তারাও শুয়ে পরে রাত দেড়টার দিকে আমার মেয়ে শাহিদা আক্তার তার বাবাকে ডেকে উঠিয়ে বলেন। আব্বা আপনি না বক পাখি ধরতে যাবেন। তখন তার বাবা উঠে বক পাখি ধরতে চলে যায়,আমার মেয়েও শুয়ে পরে।
সকাল ৫ টার দিকে আমার ছোট মেয়ে দেখতে পান দোচালা টিনের রান্না ঘরের দরজা খোলা ঘরের দিকে এগিয়ে গেল দেখতে পায় শাহিদা গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার করে ডাকাডাকি করলে সবাই বেরিয়ে আসতে থাকে। এর পর থেকে আরিফ কে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তার পরিবারেরও কোনো লোক জন এপর্যন্ত আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি থানাতেও আসেনি।
পরে পরিবারের লোকজন শাহিদাকে ফঁসিতে ঝুলতে দেখে নকলা আর্মি ক্যাম্পে ও থানা পুলিশে কে খবর দেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাউল আলম তিনি আরো জানান, মৃত শাহিদা আক্তারের বাবা আক্তার আলী বাদী হয়ে থানায় একটা মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই মামলার তদন্ত কাজের সুবিধার্থে কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে তার কারণ জানতে আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, খবর পেয়ে আমরা নিহত শাহিদা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করেছি।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *