আশিকুর রহমান:
কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামীণ অধিকাংশ সড়ক ও ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।আখাউড়া উপজের কয়েকটি গ্রামের পানি ডোকে গেছে। সিলট জইনতাপুর উপজেলা, সইলাখাল,গোয়াইনঘাট, মামার বাজারের বিভিন্ন ঘর বাড়িতে পানি ডোকে গেছে।
উচু জমিতে করা আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।
বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, ঢালুয়া, মৌকারা, রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, জোড্ডা পূর্ব, জোড্ডা পশ্চিম, আদ্রা উত্তর, আদ্রা দক্ষিণ, বাঙ্গড্ডা ও পেরিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গিয়েছে। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যা ৮টায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি উপচে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। উপজেলার ঢালুয়া-চিওড়া ও বক্সগঞ্জ-গুনবতী আঞ্চলিক সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় করে বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বেশির ভাগ মানুষ এখনো পানিবন্দি।
বন্যার পাশাপাশি দুর্গত কিছু কিছু এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। পানিবন্দি মানুষের রান্না করার অসুবিধার কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী দেশবার্তাকে বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে বুধবার সকাল থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। সারাদিন ভারি বর্ষণের ফলে আরো অবনতির আশঙ্কায় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার্ত মানুষকে নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া উপজেলার সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, মৌকরা, রায়কোট, জোড্ডা পূর্ব, জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নে ১ মেট্রিকটন করে চাউল সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবারের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে, প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিতরণ করা হবে।কুমিল্লা, আখাউড়া, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা হয়েছে।