ডেস্ক নিউজ:
দক্ষিনের জেলা পিরোজপুরের মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুল ইসলাম কিসমত। এিনপি ও তার জোটভুক্ত দলসমূহের বিগত ১৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থাকলেও ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের আরো অনেক ভুঁইফোর নেতার মত মাথাচারা দিয়ে উঠেছেন পিরোজপুরের কিসমতও। বিভিন্ন দল ছুট কতিপয় মানুষকে সংঙ্গে নিয়ে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব একটি বাহিনী। শুরু করে দিয়েছেন ব্যাক্তিগত প্রতিপক্ষকে দমন নিপিড়নের কাজ। যে কারনে সাধারন মানুষ ব্যাবসায়ী এমনকি বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরাও রয়েছেন আতঙ্কে। এমনই অনেক লোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিরোজপুরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান,এশহরে ব্যাবসা করতে গেলে কিসমতকে চাঁদা না দিলে হতে হয় নানাবিধ হয়রানির শিকার। তার ভয়ে সার্বক্ষণিক আতঙ্কে থাকেন সধারন মানুষ। জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান কিসমত কখনও দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলেনা এবং সব সময়ে দলিয় নেতৃবৃন্দের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। গত ৫ আগষ্ট রাষ্ট্রীয় পট পরিবর্তনের পর থেকে তার কর্মকান্ডে জেলা বিএনপি অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে বলেও বিএনপি নেতাদের অভিমত।
স্থানীয় বিএনপি সমর্থকরা জানান,বিগত ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর সারা দেশে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নামে যে সব নৈরাজ্য ও দখল বানিজ্যে বদনাম ছড়িয়ে পড়েছে মূলত কিসমতের মত নেতা-কর্মীরাই এর জন্য দায়ি। স্থানীয়দের দাবি ক্ষমতার পালাবদলেই যারা এ ধরনের আতঙ্ক হয়ে ঊঠতে পারে,ক্ষমতায় গেলে তারা না জানি আরো কি করে। এমন আতঙ্ক আজ জনমনে। তবে এজন্য বিএনপির সকল নেতা-কর্মী দায়ি না হলেও কিসমতের মত কতিপয় সুবিধাভোগি রাজনৈতিক নেতারাই এজন্য দায়ি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু মুঠো ফোনে জানান, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হলেও বিগত ১৬ বছরেও কিসমতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা হয় নাই। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি দখলদারিত্বের বিষয়টা আমরা শুনেছি কিন্তু দলীয়ভাবে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, বিগত ১৬ বছরে দলের জন্য সে কোন কাজ করে নাই এমনটা না। তবে সে বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক কাজ করতেছে বিধায় কেউ তার বিরোধিতা করতে পারে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি দখলবাজের বিষয়টা আমি শুনছি কিন্তু আমাদের কাছে এরকম কিছু লিখিত অভিযোগ নাই। কারো কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে এবং দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে অভিমত তার।