বিনোদন ডেস্ক:
রাজনৈতিক পালাবদলের সময় থেকেই নাটকের ভিউ নিয়ে প্রযোজনাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। কারণ, নাটক কম দেখছিলেন দর্শক। সে সময়ই বিরতি দিয়ে ফেরেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। প্রচারিত হয় তানজিন তিশার সঙ্গে তাঁর নাটক কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস ও তানজিম সাইয়ারা তটিনীর সঙ্গে হঠাৎ ভালোবাসা। দুটি নাটকই সাড়া ফেলেছে। অভিনেতাকে নিয়ে লিখেছেন মনজুরুল আলম
আগে থেকেই দর্শকদের কাছে তিভান নামে পরিচিত তাঁরা। তানজিনের ‘তি’ ও জোভানের ‘ভান’ থেকে তিভান। একসময় নিয়মিত জুটি ছিলেন ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা। দর্শকপ্রিয় হয়েছিল তাঁদের একাধিক নাটক। তিভানদের নাটক নিয়ে ভক্তদের চর্চারও কমতি ছিল না। কিন্তু হঠাৎই এই জুটির নাটকের সংখ্যা কমে যায়। একসঙ্গে অভিনয়েও বিরতি দেন তাঁরা। বিরতির পর কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস দিয়ে ফিরেছেন সেই জুটি। দীর্ঘদিন পর ফেরা, নাটকটি নিয়ে তাই প্রত্যাশা ছিল বেশি।
জোভান বলেন, ‘আমাদের একটা গ্রহণযোগ্যতা ছিল ভক্তদের কাছে। ভক্তদের কাছে প্রত্যাশাও ছিল বেশি। কিন্তু সময়টা এমন, কিছুটা চিন্তা ছিল। পরে দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। ভক্তরা প্রশংসা করছেন। এখন দায়বদ্ধতা বেড়েছে। বুঝতে পারছি, আমাদের আরও ভালো ভালো কাজ করা উচিত।’
সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন জোভান। মাসে অনেক চিত্রনাট্য হাতে পান। সেখান থেকে হাতে গোনা পাঁচ-সাতটিতে অভিনয় করেন। সেসব নাটক প্রচারের পর ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে থাকে। এই অভিনেতার কাছে প্রশ্ন, জনপ্রিয়তাকে কীভাবে দেখেন? ‘জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষে আছি, নাকি অন্য কোন জায়গায় আছি, সেটা আমি বলতে পারব না, এটা নিয়ে ভাবি না। কারণ, এটা পুরোপুরি দর্শকের ভালোবাসা। আমি কোনো র্যাঙ্কিংয়ে থাকতে চাই না। নিয়মিত অভিনয় করে যেতে চাই। দর্শকদের মনে থাকতে চাই, ভালোবাসার জায়গায় থাকতে চাই।’
দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এটাই মনে করেন জোভান। তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কিছু ক্ষেত্রে কাজ কম হচ্ছে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন। সবার মতামত নিয়েই সংস্কার আশা করেন এই অভিনেতা। ‘সবাই চাহিদার কথা জানালেই নানা প্রশ্নে কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে,’ উল্লেখ করে জোভান বলেন, ‘আমি নগণ্য একজন অভিনেতা। আমার একা কিছু করার বা বলার নেই। সবাই সবার মনের কথা বললেই চাহিদা পূরণ হবে। সবার বলার পরও যদি মনে হয় সংস্কারের জন্য আরও কিছু বলা লাগবে, তখন বলব।’
১২ দিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে ফিরেছেন এই অভিনেতা। আট দিন শুটিং থাকলেও বাকি সময়গুলো ঘোরাঘুরি ছিল মূল কাজ। তিনি জানান, পছন্দের জায়গাগুলোতে ঘোরার সুযোগ হয়েছে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত, নিউইয়র্ক সিটি, ম্যানহাটানের পছন্দের জায়গায় বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঘোরাঘুরির সময় আমার পছন্দ কাম অ্যান্ড কোয়াইট জায়গা, পিসফুল জায়গা। বাফেলো, নিউ জার্সির এমন সব জায়গায় ঘুরে মানসিকভাবে শান্তি পেয়েছি।’
ভক্তদের প্রত্যাশা দিন দিন বাড়ছে, সেটা বুঝতে পারেন এই অভিনেতা। তাঁর অভিনীত হঠাৎ ভালোবাসা নাটকও দর্শকদের পছন্দে শীর্ষে ছিল। যে কারণে এখন কাজের মানে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর কিছুটি বিরতি নিতে আন্দোলনের আগে থেকেই আমি দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে থাকতে পারিনি। সেভাবেই পরবর্তী সময়ে শিডিউল দেওয়া ছিল। যুক্তরাষ্ট্রেও শুটিং করেছি। পরে নাটক বিরতি দিয়ে প্রচারিত হলো। আগের চেয়েও দর্শকদের ভালোবাসা বেশি পাচ্ছি। আমাদের নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা বাড়ছে। এখন বাড়তি প্রত্যাশার কথা মাথায় নিয়েই শুটিং করে যাচ্ছি। আশা করছি, আগামীর কাজগুলোও দর্শক পছন্দ করবেন।’