সংবাদ শিরোনাম:

দাগেস্তানে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, তিন দিনের শোক

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের দাগেস্তানে সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় ১৫ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। এছাড়া এক অর্থোডক্স ধর্মযাজক ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি তিনি। সোমবার (২৪ জুন) সকালে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে প্রকাশিত এক ভিডিও বিবৃতিতে, হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেলিকভ। এই ঘটনায় দাগেস্তানে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হামলাকে দাগেস্তান ও পুরো দেশের জন্য খুবই দুঃখের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন মেলিকভ। এ ঘটনায় সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দাগেস্তানে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মেলিকভ বলেন, এই তিন দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেই সঙ্গে বিনোদনমূলক সব আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার দাগেস্তানের দুটি শহর দারবেন্ট ও মাখাচকালায় ইহুদিদের একটি সিনাগগ, দুটি গির্জা ও একটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালিয়েছে কালো পোশাক পরিহিত বন্দুকধারীরা। হামলায় ঘটনাগুলো প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ছয় বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে হামলায় কতজন বেসামরিক নাগরিক ও বন্দুকধারী নিহত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
দাগেস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত ডারবেন্ট শহরের একটি সিনাগগ ও একটি গির্জায় একদল সশস্ত্র লোক হামলা চালায়। এই এলাকাটি প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায় ও ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের জন্য পরিচিত ছিল। হামলায় দুটি উপসনালয়ই আগুনে পুড়ে গেছে এবং দুই হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রায় একই সময়ে দাগেস্তানের রাজধানী মাখাচকালায় একটি গির্জা এবং একটি ট্র্যাফিক পুলিশ পোস্টে হামলার খবর প্রকাশিত হয়।
মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে আইএস জঙ্গি হামলায় ১৪৫ জন নিহত হওয়ার, তিন মাস পর দাগেস্তানের দুটি শহরে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটলো।তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে রাশিয়ার অভ্যন্তরে অশান্তি ছড়াতে এই ঘটনার সঙ্গে পশ্চিমা ও ইউক্রেন জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
হামলার পর এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তও শুরু হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলাকারীদের মধ্যে মধ্য দাগেস্তানের সেরগোকালা জেলা প্রধানের দুই ছেলেও ছিল, যাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া কাস্পিয়ান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০০০ সালের দিকে এই অঞ্চলটি প্রতিবেশী চেচনিয়া থেকে আগত ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের হামলায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল। ওই সময় রুশ নিরাপত্তা বাহিনী এই অঞ্চলে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করে। ২০১৭ সালে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস এই অঞ্চলকে বিদ্রোহীমুক্ত বলে ঘোষণা দেয়।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *