সংবাদ শিরোনাম:

‘শহীদি মার্চ’ ঘিরে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। দিনটি ঘিরে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষিত এই কর্মসূচি ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, শহীদি মার্চ কর্মসূচি ঘিরে যেকোনও নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্রাইক ফোর্স দেওয়ার পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবেন। শহীদি মার্চ মিছিলের সামনে, ভেতরে এবং পেছনে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি থাকবে।
এদিকে যানজট নিরসন ও জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটি সড়ক ও রাস্তায় ড্রাইভারসন হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপি জানায়, শহীদি মার্চের মিছিলে ছাত্র-জনতার জনসমাগম ও লোকসংখ্যা বুঝে সড়ক-ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে জনসমাগম বেশি হলে ড্রাইভারসনের মাধ্যমে বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও যানজট নিরসনে অন্যান্য সড়ক ও রাস্তাগুলোতে সড়ক দখল-অবৈধ পার্কিং বন্ধ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সাধারণত বৃহস্পতিবার সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চের মিছিল ঘিরে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসাররাও রাস্তায় থাকবেন। মিছিলে জনসমাগম ও লোকসংখ্যা দেখে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে কাজ করা হবে। চেষ্টা করা হবে মিছিলটি সড়কের একপাশ দিয়ে চলাচল করতে। তবে জনসংখ্যা বেশি হলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
গতকাল (বুধবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হবে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।
শহীদি মার্চের মিছিল ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেরঅতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্রাইক ফোর্স থাকছে। মিছিলের সামনে ও পেছনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরাও কাজ করবেন। যাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *