সিনিয়র রিপোর্টার:
মতিঝিলের বিভিন্ন দোকানে বাকীতে খেয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়ে পালিয়ে থাকা যুবলীগ নেতা এন ডি এন মাইকেল এখন সাংবাদিকের বেশ ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে নিউজের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে আসছে। আবার টাকা না দিলে মনগড়া কল্পকাহিনী দিয়ে নিউজ করে সংশ্লিষ্টদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ভাতিজাখ্যাত এই যুবলীগ নেতা ক্যাসিনোর জনক ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও মতিঝিলের টেন্ডার মাফিয়া ৯নং ওয়ার্ডের পলাতক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের ছোট ভাই হিসেবে বিশেষ পরিচিত। মতিঝিল ক্যাসিনো পাড়া থেকে দৈনিক হাজার টাকা হাজিরা আদায়কারী মাইকেল বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের সাথে উঠাবসা করতে করতে এখন পিঠ বাঁচাতে সাংবাদিকতায় নেমে পড়েছে। কিছুটা শিক্ষিত হলেও এখন পর্যন্ত সাংবাদিকতার ‘স’ টাই রপ্ত করতে পারে নাই। যা তার আন্ডারগ্রান্ড পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ পড়লেই বুঝায়। যেমনটা মজমায় তাবিজ বিক্রির গল্পের মতো। তাবিজ বিক্রেতা শুরুতেই একটা গল্প বলে- এই বাক্সে সেই সাপ যেটা কামরুকাক্খার পাহাড় থেকে..। এরপর এই গল্প শুনাতে শুনাতে তাবিজ বিক্রি করে ফেলে, কিন্তু সাপ আর বাক্সের ভেতর থেকে বের করে না। মাইকেলের নিউজের মধ্যেও একটাই শব্দ ‘শতশত কোটি টাকা মালিক’, দুর্নীতি করেছে, ঘুষ নিয়েছে। কিন্তু কিভাবে শত কোটি টাকার মালিক তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা তথ্য নেই, কার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে বা কার সাথে দুর্ণীতি করেছে তারও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা তথ্য নেই। একশ লাইন নিউজের মধ্যে দুই লাইন সঠিক তথ্য নাই। কারো সন্দেহ হলে তার নিউজ পড়ে দেখবেন। কোন নিউজে শত কোটি টাকার সম্পদের কথা বলা হলে সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সম্পদগুলোর পরিচয় দেখানো হয়। যেমনটা বেনজী-মতিউরের ক্ষেত্রে দেশবাসী জেনেছে। পিয়ন ৪শ কোটি টাকার মালিক এটা খুনী হাসিনা নিজের মুখে দেশবাসী কাছে বলেছে। খুনী হাসিনা যেহেতু বলেছে, তাহলে সে মিথ্যা কথা বলে নাই। ওই সময় হাসিনার সামনে শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলো। যাদের অনেকেই পরবর্তীতে তথ্য প্রমান সহকারে নিউজ প্রকাশ করেছে। মাইকেল সাংবাদিক হলে তার নিউজ যুগান্তর, প্রথম আলো, ডেইলি ষ্টার, কালের কন্ঠ, ইনকিলাব ইত্যাদি পত্রিকায় ছাপা হয় না কেন? জাতি জানতে চায়। মাইকেল সাংবাদিক হলে সাংবাদিক হলে একই পত্রিকায় বছরের পর বছর কাজ করতে পারে না কেন?, সাংবাদিকতার লাইনে হাটতে হাটতে মাইকেল এ পর্যন্ত ডজনখানেক পত্রিকা অফিস থেকে বিতারিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
৫৬লাইনের একটা নিউজের শেষে মাইকেল লিখেছে, ‘কিন্তু এখন সময় এসেছে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত করে তার সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগরে জমা করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার’। এখন প্রশ্ন হলো এটা আসলে কার বক্তব্য, তার কোন পরিচয় নেই কেন। সুতরাং এটা মাইকেলের নিজের বক্তব্য। একটা নিউজে কখনো একজন রিপোর্টারের মনগড়া বক্তব্য থাকেনা। এমন সব নিউজ করার আগে মাইকেল কি করে, কিভাবে টাকা দাবী করে তার বিস্তারিত আসছে পরবর্তী পর্বে।