আইনুল নাঈম:
শেরপুর শহরের গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লাবাসীর সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। এসময় খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার কয়েকটি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। তবে মৃত্যুর ঘটনা কে কেন্দ্র করে আজও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলা শহরের গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার বিষয় নিয়ে শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলি চালক আশরাফুল আলম মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদিকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুই দল তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওই এলাকায় পরীস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং তাদের জোড়ালো প্রদক্ষেপে এলাকা কিছুটা শান্ত হয়। তবে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতরা হলেন- জেলা শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত হাফেজ আজাহার আলীর ছেলে ট্রলি চালক আশরাফুল আলম মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার মিন্টু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (৩২)।
অপরদিকে গুরুতর আহত আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।